ডোনার এর বানী

স্বাধীনতাত্তোর শিক্ষা ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনগ্রসর শেরপুরের শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান শেরপুরে একটি বেসরকারী কলেজ প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করেন। তাঁর পরিকল্পনায় ও সাবেক এমপি মরহুম আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন আহাম্মদসহ শেরপুরের বিশিষ্টজনদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পৃষ্টপোষকতায় অস্থায়ীভাবে জি. কে. উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৮৬ সালে শেরপুর জেলা কলেজ নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে সরকারী এতিম খানায় জেলা কলেজটি স্থানান্তরিত হয়। এ পর্যায়ে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ডাঃ সেকান্দর আলী বর্তমান জায়গাটি কলেজকে দান করলে জেলা কলেজের সাংগঠনিক কমিটি কলেজটির নাম পরিবর্তন করে ডাঃ সেকান্দর আলী কলেজ নামকরন করেন। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তখনকার সময়ের চাহিদা মিটালেও বিভিন্ন প্রতিকুলিতার কারণে কলেজটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের সংগঠকদের যে অঙ্গীকার ছিল তার অধিকাংশই পূরণে সমর্থ হয়নি। এ দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষায় অগ্রগতির সাথে সাথে শেরপুরও সমতালে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে শেরপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে কলেজসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা চাহিদার তুলনায় সংখ্যাগত দিকে অপ্রতুল নয়। বিশ্ব বিবর্তণের চাহিদাকে সামনে রেখে মানণীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনায় কাজ করে যাচ্ছেন। আর আমাদের কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মাননীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আতিউর রহমান আতিক এমপি আধুনিক শেরপুরের পরিকল্পনার রূপরেখা নিয়ে শেরপুরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ডাঃ সেকান্দর আলী কলেজ তাঁদের পরিকল্পনায় সহযোগিতা করে সামিল হওয়ার লক্ষ্যে “আক্ষরিক শিক্ষা নয়, গুণগত শিক্ষা” স্লোগান নিয়ে নতুন উদ্যোমে কাজ করে যাচ্ছে। আমার প্রত্যাশা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মাননীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আতিউর রহমান আতিক এমপি মহোদয়ের দিকনির্দশনা ও পৃষ্টপোষকতায় সর্বস্তরের শেরপুর বাসীর সহযোগিতায় ডাঃ সেকান্দর আলী কলেজ শুধু শেরপুর নয় বাংলাদেশে একটি আদর্শ কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এখান থেকেই বের হবে বিশ্বমানের নাগরিক যারা বিনির্মাণ করবে আধুনিক শেরপুর তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ।